রাকিব শান্ত, উত্তরবঙ্গ ব্যুরো প্রধানঃ দিনভর কম ভোটারের উপস্থিতিতে শেষ হয় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন। দুটি আসনেই ভাইরাল হিরো আলম পদপ্রার্থী হওয়ায় দেশের পাশাপাশি সারাবিশ্বের অনেক বাংলাদেশীদের নজর ছিলো হিরো আলমের নির্বাচনী ফলাফলের দিকে। বগুড়া-৬ আসনে কম ভোট পেলেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেন হিরো আলম। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবী করেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনের শুরু থেকে প্রায় দিনভর ফাঁকা ছিলো ভোটকেন্দ্র গুলো। দুপুরের পর থেকে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে এমন প্রত্যাশা করলেও পূরণ হয়নি সেই আশা। সর্বোপরি দুটি আসনেই ভোট ছিলো নিরুত্তাপ।
আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম ইতোমধ্যে বিভিন্ন চমকপ্রদ ঘটনা ঘটিয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও বগুড়ার ২টি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। শেষ পর্যন্ত সে নির্বাচনের মাঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো। হিরো আলমের মার্কা ছিলো একতারা।
বগুড়া ৬ আসনে হিরো আলমের মূল লড়াই হয় জাসদের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের সাথে। বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী জয়ী তানসেন পেয়েছেন ২০,৪০৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পেয়েছেন ১৯,৫৭১ ভোট। অর্থাৎ ৮শোর কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন হিরো আলম। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।